ভবানীপুরের বিজয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে উপনির্বাচন হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে হেরে যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে ৬ মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হয়। সেইজন্যই নিজের গড় ভবানীপুরেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেসের অনেক নেতাই এই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন। তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্যদিক ভেবে দেখার জন্য বিশদে আলোচনার দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের জোটসঙ্গী বামেরা ময়দান ছাড়তে নারাজ।
প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি খড়গপুর আসন তৃণমূলকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, বিজেপিকে আটকানো। বিনিময়ে তৃণমূল কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেসকে সমর্থন দিত।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ আবার অধীরবাবুর প্রস্তাবকে রাজনৈতিক ভাবে সমর্থন জানালেও এই বিষয়ে দলে আরও আলোচনার প্রয়োজন বলে মনে করছেন। ওই অংশের বক্তব্য, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলে, যাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করতে চান না, তাঁদের বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘কোনও নির্বাচনী আঁতাঁতের কথা বলিনি। যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়াই আমার মত। নিশ্চয়ই এই নিয়ে আলোচনা হবে।’
তবে এই রাজনৈতিক সৌজন্যের উদাহরণ যে একেবারেই নেই তা নয়। এর আগে নয়ের দশকের গোড়ায় পিভি নরসিংহ রাও প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পরে যখন লোকসভায় লড়তে অন্ধ্রপ্রদেশে যান, তখন অন্ধ্রপ্রদেশে কংগ্রেস বিরোধী হলেও সৌজন্য দেখিয়ে এনটিআর-এর তেলুগু দেশম তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি।
ভবানীপুরে প্রার্থী না দেবার প্রশ্নে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার দাবি উঠেছে বাম শিবিরেও। যদিও বামেদের বক্তব্য, উপনির্বাচনের তারিখ ঠিক হোক। পরিস্থিতি মাথায় রেখে এমন পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে বিজেপি সুবিধা না পায়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।