দুর্গাপুজোর আনন্দে জল ঢালবে বৃষ্টি! বঙ্গোপসাগরে ৩টি নিম্নচাপের সম্ভাবনা, রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও
দুর্গাপুজোতে বৃষ্টির ভ্রূকুটি! একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে নতুন করে ৩টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আর এমনটা হলে পুজোতে বাঙালিকে ছাতা নিয়েও ঘুরতে হতে পারে।
পুজোর আর এক মাস বাকি। জমিয়ে চলছে বাঙালির কেনাকাটা। ধর্মতলা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তেই ঢল নেমেছে মানুষের। এর মধ্যেই অশনি সংকেত দিল ওয়েদার আল্টিমার নামক এক বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা। তারা জানাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মাঝের দিকে বঙ্গোপসাগরে তিনটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার জেরে ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। তারা এও জানিয়েছে নিম্নচাপ পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে। অন্যদিকে মহালয়া ২৫ সেপ্টেম্বর। বাঙালির দুর্গা পুজা কার্যত ওইদিন থেকেই শুরু হয়ে যায়।
সকলেই জানেন ঘূর্ণাবর্ত থেকে তৈরি হয় নিম্নচাপ। সেপ্টেম্বরে মৌসুমি বায়ুর গতিবিধি বাড়তে পারে। ফলে ঘূর্ণাবর্তের সংখ্যাও বাড়বে। আর ঘূর্ণাবর্ত থেকে তৈরি হয় নিম্নচাপ। তবে এর অভিমুখ ঠিক কোনদিকে হবে তা এখনও জানা যায়নি। ঐ আবহাওয়া সংস্থার আধিকারিক এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, চলতি বছরে এমনিতেই বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। মারশুমি বৃষ্টির ঘাটতি পূরণ হওয়ার জন্য সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া বেশকিছুদিন ধরে যেভাবে গরম পড়ছে তাতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণও বাড়বে।
তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতে বৃষ্টি হলেও রাস্তায় মানুষের ঢলের কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ সারা বছর ধরে দুর্গাপুজোর অপেক্ষা করে বাঙালি। এর ওপর গত 2 বছর করোনার প্রকোপ থাকায় পরিমাণের তুলনায় কম মানুষকে প্যান্ডেল হপিং করতে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে পুজোতে বৃষ্টি হলে ব্যবসা মন্দা যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ফুচকা সহ অন্যান্য স্ন্যাক্স ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথায়, পুজোতে প্রচুর ফুচকা বিক্রি হয় তাঁদের। কিন্তু বৃষ্টি হলে মানুষ ঠাকুর দেখতে এলেও অনেকেই জল জমা রাস্তায় বা কাদা মাঠে খেতে অনীহা প্রকাশ করেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।