জল্পনা ছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার সেই জল্পনাকে সত্যি করে বিজেপি ছাড়ার দেড় মাসের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার আচমকাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় সাংবাদিকদের জানান, এবার সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেব। রাজনীতি ছাড়ার কথা মন থেকেই বলেছিলাম। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নিজেই গর্বিত। আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছি তখন অবশ্যই বিজেপির টিকিটে জেতা কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করব। শেষ ৪ দিনে আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। আমার দিকে প্রচুর কটাক্ষ আসবে আমি জানি। কিন্তু আমি সবসময় মন থেকে কাজ করি। আমার সামনে যে সুযোগ এসেছে তা আমি গ্রহণ করেছি। আমাকে দল যা বলবে আমি তাই করবো। আমি আগামীকাল ৩টের সময় আবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হব।
গত ৩১ জুলাই নিজের ফেসবুক পোস্টে বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতিকে ‘আলবিদা’ জানিয়েছিলেন। ওইদিন নিজের পোস্টের সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এক গান জুড়ে বাবুল সুপ্রিয় পোষ্ট করেছিলেন - "সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায় - নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর..."। যদিও মাত্র ৪৯ দিনের মাথাতেই নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতিকে আলবিদা জানানোর পর কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ দিলীপ ঘোষ। যার উত্তরে ১ আগস্ট বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, 'এই ধরনের ‘ব্যক্তিত্ব’ বা uncouth মন্তব্যের সাথে তো আর রোজ রোজ Deal করতে হবে না! কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো যেটা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারব! নীচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম। প্রথম উক্তিটির ‘সৌজন্য’ শ্রী কুনাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ… দেখুন।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।