২০১৮ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু আর নেই। রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও অরাজকতায় ছেয়ে গিয়েছে রাজ্য। পুলিশ কাঠের পুতুলে পরিণত হয়েছে বলে আক্রমণ শানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ২ বছর ধরে কমপক্ষে ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে ৯টি গণপিটুনির ঘটনাতে। পুলিশ হেপাজতে প্রাণ গিয়েছে ৫ জনের। বিজেপি সরকারের এই আচরণ ও হাতের পুতুলে পরিণত হওয়া পুলিশের ভূমিকার কারণে বিরোধী দলের সদস্য, সমর্থক ও পার্টি অফিসের উপর অত্যাচার-হামলা চালানো হয়েছে।
মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিধানসভা অধিবেশনের সময় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব আশ্বাস দিয়েছিলেন, বিরোধী দলের সদস্য-সমর্থকদের উপর হামলা চালানো বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসবাণী শোনানোর পরও প্রায় ২০০ টির বেশি হামলা হয়েছে বিরোধী দলের সদস্যদের উপর। মূলত, সিপিআই(এম) কর্মী ও সমর্থকদের উপরই এই হামলা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
বিরোধী দলের সমর্থকদের দোকান ও বাড়ির উপর ১৫২ বার হামলা হয়েছে, ১৭ বার পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।মানিক সরকার উল্লেখ করেন, ত্রিপুরা একসময় রক্তদান শিবিরের জন্য দেশে এক নম্বরে ছিল। রক্তদান শিবির চলাকালীনও বিজেপি বিরোধী দলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। রাজ্যে করোনা মহামারীকালে পিপলস রিলিফ ভলান্টিয়ার্স (পিআরভি) মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছতে গেলে তাদের উপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন মানিক।
-with IANS input
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।