ত্রিপুরায় যাতায়াতে বাধা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বাংলার শাসক দল। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, তৃণমূলকে কোনও রকম বাধা দেওয়া হয়নি। যদি তাই হত, তাহলে তুই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল স্বাধীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে পারত না।
বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাতিয়ার ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া বহিরাগত তকমা। তারা যখনই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন, তাদের বহিরাগত বলে দেগে দেওয়া হত শাসক দলের পক্ষ থেকে। বাংলার মানুষই বাংলা চালাবে, বাইরের কেউ নয়-এমন ভাবেই তৃণমূল ভোট প্রচার করত। তৃণমূলের সেই স্ট্রাটেজি যেন ত্রিপুরায় বুমেরাং হয়ে ফিরে এল। ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে ঘাসফুলকে দ্বিমুখী সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল ত্রিপুরায় বহিরাগত। সে রাজ্যে ঘাসফুলের কোনও অস্তিত্বই নেই।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী তৃণমূলের অভিযোগ করে বলেন, 'গণতান্ত্রিকভাবে গঠিত সরকার গণতন্ত্র মেনে কাজ করছে। যখন খুশি আসছেন, আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। বাইরে থেকে কেউ এলে ক্ষোভ-প্রতিবাদ হবে, এই সংস্কার ত্রিপুরায় নেই।' তৃণমূল কি ত্রিপুরায় বহিরাগত? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর সাফ জবাব, ত্রিপুরায় যার সঙ্গে কোনও লোক নেই, সংগঠনের কোনও ভিত্তি নেই, তাদের ত্রিপুরাতে দল হিসেবে কি মনে হয় ভাবা উচিত?
তাঁর মতে, রাজনৈতিক দল হিসেবে একটা দলের যা থাকতে হবে, তার কিছুই নেই। সুতরাং তাকে বহিরাগত ভাবা হবে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়। তাঁর কথায়, মানুষ ভাববেন কাকে নেবেন আর কাকে নেবেন না। তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করছেন। অথচ বলছেন এখানে গণতন্ত্র নেই। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তাঁদের কিছু হবে না।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।