সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) মাসিক রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, জুলাই মাসে গোটা দেশে নথিভুক্ত বেকারদের নিয়ে যে তালিকা তৈরি হয়েছে, সেই তালিকায় প্রথম পাঁচটি রাজ্যেই বিজেপি শাসিত। অর্থাৎ ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর সরকার চলছে। ‘ডবল ইঞ্জিন' সরকারের অর্থই সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কিন্তু বেকারত্ব বেশি এই ডবল ইঞ্জিনের পাঁচ রাজ্যেই।
কেন? বিষয়টা পরিষ্কার, মানুষ কাজ পাননি। প্রায় দেড় বছর ধরে করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জেরে এমনিতেই অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের রাজ্যেও কিছু হয়নি। যাঁরা কর্মহীন হয়েছেন, তাঁরা চাকরি পাননি। নতুন কর্মসংস্থান হয়নি।
বেকারত্বের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে দুই কেন্দ্রশাসিত রাজ্য পুদুচেরি এবং জম্মু-কাশ্মীর। অথচ এই ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট এই জম্মু-কাশ্মীরে ঘটা করে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করা হয়। রাজ্য ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। সে রাজ্যের নেতাদের গৃহবন্দিও করা হয়। কিন্তু তার ঠিক দু’বছর পরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কোনও উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি।
কর্মহীনতায় পাঁচ রাজ্যের তালিকায় গোয়ার সঙ্গে যুগ্মভাবে আছে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানও। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম সারিতে থাকা ছ’টি রাজ্য হল, হরিয়ানা (২৮ শতাংশ), গোয়া ও রাজস্থান (২১ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর (১৫ শতাংশ), ত্রিপুরা ও বিহার (১৩ শতাংশ)। পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে এই হার ৭ শতাংশ।
জুলাই মাস থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক লেনদেন। তাই মে ও জুন মাসের তুলনায় বেকারত্বের হার কমে জুলাইয়ে। করোনার তৃতীয় ঢেউ দাপট না দেখালে আগস্ট মাসে আরও কমতে পারে বেকারত্বের হার। তবে হরিয়ানা কিংবা গোয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাজ্যগুলিতে কর্মহীনতাই অস্বস্তিতে ফেলছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।