উড়িষ্যার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বালাসোর সহ উত্তর উড়িষ্যার একাধিক জেলায় বন্যা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। নদীগুলির জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আধিকারিকেরা জানান, উড়িষ্যার উত্তরের জেলাগুলিতে নদীর জল বেড়েই চলেছে। প্লাবিত হয়েছে প্রায় ২৫০ টি গ্রাম। বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, জাজপুর সহ একাধিক জেলার ৯ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৪৪০ টি ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের খাওয়ানো হচ্ছে।
আধিকারিকেরা আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের ফলে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে ঝাড়খণ্ড থেকে সুবর্ণরেখা, জলাকা, বৈতরণী নদীর জল ছাড়া হয়েছে। সেই কারণেই উড়িষ্যার জেলাগুলি প্লাবিত হয়েছে।
উড়িষ্যার জলসম্পদ বন্টন মন্ত্রী টুকুকি সাহু বলেন, সুবর্ণরেখার জল ধীরে ধীরে কমতে থাকলেও এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়েই বইছে।
অন্যদিকে বৈতরণী নদীর জলে জাজপুরের দশরথপুর, কোরেই সহ একাধিক ব্লক প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কেওনঝাড়, হাতাদিহি, ঘসিপুরা আনন্দপুরের বহু জায়গা জলের তলায় চলে গেছে।
বালাসোর জেলার কালেক্টর বলেন, বালাসোরের ৮৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত বন্যার ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রশাসন প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। ২২৭ টি অস্থায়ী বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছে।
উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্দেশ্যে এক ট্যুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বৈতরণী, বুড়িবালাম ও সুবর্ণরেখা নদীতে বন্যার কারণে বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, ময়ূরভঞ্জ এবং কেওনঝাড় জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের জন্য আরও ৭ দিনের ত্রাণসামগ্রী দেওয়ার ঘোষণা করেছি। বন্যা দুর্গতদের দ্রুত পরিষেবা দেওয়ার সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।