পেগাসাস নজরদারি কান্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল এডিটর্স গিল্ড। গিল্ডের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই বিষয়ে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করার আবেদন জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্ট যাতে সরকারের কাছে নজরদারির তালিকা চেয়ে পাঠায়, সেই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার ৫ আগস্ট।
প্রসঙ্গত, হিন্দু গ্রুপ অফ পাবলিকেশনের ডিরেক্টর এন রাম এবং এশিয়ানেটের প্রতিষ্ঠাতা শশী কুমার ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার বেঞ্চ আগামী সপ্তাহে এই আবেদনের শুনানি শুরু করবেন।
কয়েক মাস আগেই ফোনের আড়িপাতাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ব রাজনীতি। অভিযোগ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে আড়ি পাতা হচ্ছে দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আরএসএস নেতা, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ, দেশের একাধিক সাংবাদিক, বিরোধী নেতা-নেত্রী, ব্যবসায়ীদের ফোনে। এই ঘটনার পর সংসদের বাদল অধিবেশনে বিরোধীদের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল The Wire দাবি করে, দেশের ৪০ জন সাংবাদিক, একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী সহ ৩০০-র বেশি মোবাইল নাম্বার হ্যাক করেছে পেগাসাস স্পাইওয়ার। এক লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইজরায়েলি সংস্থা NSO গ্রুপ এই স্পাইওয়্যার কেবল নির্বাচিত সরকারকে বিক্রি করে সন্ত্রাসবাদী ও অপরাধীদের সন্ধানের জন্য। এখন প্রশ্ন হল, যেহেতু NSO সরকার ছাড়া কাউকে এই স্পাইওয়ার বিক্রি করে না, তাহলে ভারতে এই স্পাইওয়ার ব্যবহার হল কিভাবে? যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে পেগাসাস নজরদারির তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যসভার সিপিআইএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা সহ আরও চারজন প্রবীণ সাংবাদিকও গতকাল ২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে পিটিশন দাখিল করেছেন। স্পাইওয়ার দিয়ে নজরদারি চালানোকে “অসাংবিধানিক ও অবৈধ” ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ল্যাবে ফরেন্সিক পরীক্ষা করে ফোন হ্যাকের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।