বেআইনিভাবে কোভিডের ওষুধ সংগ্রহ ও মজুত করা নিয়ে বিজেপি সংসদ গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে চলা মামলায় স্থগিতাদেশ দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, এমনটা হতে পারে না। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এম আর শাহের বেঞ্চে মামলাটি আসে।
তাঁদের বক্তব্য, সেসময় গোটা দেশেই ওষুধের জন্য হাহাকার চলছিল। তখন এই ট্রাস্ট ওষুধ দেবে বলে জানায়। গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এই সম্পর্কে কোনও মতামত প্রকাশ না করলেও বেঞ্চ জানিয়েছে, বাস্তবে কী ঘটেছে, তা তারা জানেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত যে চলবে, সেটা আন্দাজ করে শেষ পর্যন্ত আবেদন প্রত্যাহার করে নেন গৌতম গম্ভীর।
প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বেআইনিভাবে করোনার ওষুধ নিজের সংস্থার নামে তুলে সংগ্রহ ও মজুত করেছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তখন হাহাকার অবস্থা। দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি দাবি করেছিলেন যে, তারা বিনামূল্যে ওষুধ বিলি করছে। প্রথমে দিল্লি ড্রাগ কন্ট্রোল খুবই সাদামাটা হবে এই মামলা তদন্ত করে। তারপর দিল্লি হাইকোর্ট সেই তদন্ত রিপোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা করে।
পাশাপাশি নতুন করে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরই তারা ফের তদন্ত করে নতুন যে রিপোর্ট দেয়, তাতে দেখা যায় কি বিপুল পরিমাণ ওষুধ মজুত ছিল। ড্রাগস এন্ড কসমেটিক্স আইনে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তদন্ত বন্ধ করার জন্য আবেদন করেন গম্ভীর। আপের বিধায়ক প্রবীণ কুমারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে। ড্রাগস এন্ড কসমেটিক্স আইনে তিনিও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।