
প্রায় ২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কারও কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ছে। সূত্রের খবর, এই পদে শশী থারুরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের অনুগত অশোক গেহলট।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে ১৭ অক্টোবর। এই নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন শশী থারুর। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পান শশী থারুর।
তবে, মঙ্গলবার, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রামেশের একটি টুইট বার্তা ঘিরে নয়া চর্চা শুরু হয়েছে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে দলের নেতৃত্বের।’ আর, জয়রাম রমেশের এই বার্তা থারুরকে কটাক্ষ করা হিসাবে দেখছে রাজনৈতিক মহল।
২০২০ সালে, দলের অন্দরে সংস্কার চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন জি-২৩ গ্রুপের সদস্যেরা, তাতে সই ছিল শশী থারুরের। সেই কারণে কংগ্রেসের অন্দরে শশী থারুরকে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা দেখা দিয়েছে। সেদিক থেকে কিছুটা এগিয়ে অশোক গেহলট। আবার বাংলা সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে রাহুল গান্ধীকেই সভাপতি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শশী থারুরের সাক্ষাতের কয়েক ঘন্টা পরেই, কংগ্রেসের শীর্ষ পদের লড়াই যথেষ্ট কঠিন হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। জানা যায়, শশী থারুরের বিপক্ষে প্রার্থী হচ্ছেন অশোক গেহলট।
এরপরেই, টুইটারে জয়রাম রামেশ লেখেন- ‘পুরো দল #BharatJodoYatra-কে সফল করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরেও এটা (নির্বাচন) গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যে যেকোন সদস্যকে স্বাগত জানাই। এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কারও কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই, বিশেষ করে দলের নেতৃত্বের।’
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট একজন কট্টর গান্ধী পরিবারের অনুগত। সম্প্রতি, দলের প্রধান (সভাপতি) হিসেবে ফিরে আসার জন্য রাহুল গান্ধীকে অনুরোধও করেছিলেন গেহলট। সেই আবেদনে এখনও সাড়া দেয়নি রাহুল গান্ধী।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের বাইরে শেষ সভাপতি ছিলেন সীতারাম কেশরী। ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে তাঁর কাছ থেকেই সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নেন সোনিয়া গান্ধী।