'কেউ যেন অভুক্ত না থাকে' - জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সর্বশেষ দেশবাসীকে এনে তাদের হাতে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়াটা কেন্দ্রের দায়িত্ব। - সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ছবি

প্রান্তিক মানুষ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাদের হাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পৌঁছাচ্ছে কিনা, মঙ্গলবার কেন্দ্রকে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, কেউ যেন খালি পেটে না ঘুমাতে যায়। কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সেটা দেখাই আমাদের সংস্কৃতি।

কোভিড অতিমারীর জেরে কেন্দ্রীয় সরকার রাতারাতি লকডাউন ঘোষণা করার পর সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। সেই নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অঞ্জলি ভরদ্বাজ, হর্ষ মন্দার এবং জগদীপ চোক্কার। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে।

মামলাকারীদের হয়ে এদিন আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। মামলা চলাকালীন তিনি বলেন, ২০১১ সালের জনগণনা (Census)-র পর দেশের জনসংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এনএফএস আইন (National Food Security)-র আওয়াত উপভোক্তা সেই হারে বাড়ানো হচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত জরুরি। ১৪টি রাজ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, কেন্দ্রের এই প্রকল্পে তাদের বরাদ্দ নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।

আদালতে এই সংক্রান্ত নথি পেশ করে ভূষণ আরও জানান - দেশে এনএফএস আইন সঠিকভাবে কার্যকর না হওয়ায় অসংখ্য যোগ্য এবং অতিদরিদ্র মানুষ এর বাইরে আছে। যার ফলে প্রাপ্য রেশন থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। কেন্দ্রের দাবি অনুযায়ী, শেষ কয়েক বছরে দেশে মাথাপিছু আয় নাকি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত অতিদ্রুত পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে।

এই মন্তব্যের পাল্টা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বলেন, এই প্রকল্পে দেশের ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ উপভোক্তার তালিকায় রয়েছেন। ২০১১ সালের জনগণনায় খাদ্য সুরক্ষা আইনে উপভোক্তার তালিকায় নতুন নাম যোগ করার ক্ষেত্রে, কোনও রাজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি।

দুপক্ষের সওয়ালের পর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় সর্বশেষ দেশবাসীকে এনে তাদের হাতে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়াটা কেন্দ্রের দায়িত্ব।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গোটা দেশে চালু হয়েছিল এনএফএস আইন। আইন অনুযায়ী, গ্রামীণ জনসংখ্যার ৭৫% এবং শহরাঞ্চলের ৫০%-র কাছে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্য রেশন মারফত পৌঁছানোর কথা বলা হয়। কিন্তু আইন চালু হওয়ার ৯ বছর পরেও দেখা গেছে, কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ এই প্রকল্পের আওতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট
'আদর্শ কন্যা' - লালু প্রসাদকে কিডনি দিয়ে বিজেপির প্রশংসা কুড়োলেন মেয়ে রোহিণী
সুপ্রিম কোর্ট
Rajasthan: মুখ বদলে স্থিতি ফেরানোর চেষ্টা, রাজস্থান কংগ্রেসের নতুন ইনচার্জ সুখজিন্দর সিং

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in