বাদল অধিবেশনে পার্লামেন্ট বারবার অচল হয়ে যাওয়ার কারণে জনগণের করের ১৩৩ কোটিরও বেশি টাকা নষ্ট হয়েছে। শনিবার একটি সরকারি সূত্র এই দাবি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরো নষ্ট হবে জনগণের কর, কারণ পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে চলা অচলাবস্থা কাটার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
১৮ জুলাই অধিবেশন চালুর চালুর আগের দিন ভারতের একটি স্বতন্ত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল দাবি করে, পেগাসাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে লোকসভা নির্বাচনের সময় দেশের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ীদের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। এক ইজরায়েলি সংস্থা এই সফ্টওয়্যার ভারত সরকারকে বিক্রি করেছিল। অধিবেশন চালুর দিন থেকে পেগাসাস নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইছে বিরোধীরা এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন তদন্তের দাবি তুলছে তাঁরা।
কিন্তু সরকার প্রতিবারই তাঁদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আইটি মন্ত্রী সংসদের উভয় কক্ষে বলেছেন, পেগাসাস নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন, সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রথম দিন থেকেই বিজেপি ফোনে আড়িপাতার বিষয়টিকে "নন-ইস্যু" হিসেবে দেখাতে চাইছে। এই মতবিরোধের জেরে প্রতিদিন সংসদের কাজ মুলতবি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এক অজ্ঞাত সরকারি সূত্র মারফত গণমাধ্যমের হাতে আসা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২ সপ্তাহে লোকসভায় কাজের সম্ভাব্য সময় ছিল ৫৪ ঘণ্টা। কিন্তু কাজ হয়েছে মাত্র ৭ ঘণ্টা। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় কাজের সম্ভাব্য সময় ছিল ৫৩ ঘণ্টা। সেখানে কাজ হয়েছে মাত্র ১১ ঘণ্টা। অর্থাৎ মোট ১০৭ ঘণ্টার মধ্যে কাজ হয়েছে মাত্র ১৮ ঘণ্টা, নষ্ট হয়েছে ৮৯ ঘণ্টা। যার ফলে দেশের করদাতাদের ১৩৩ কোটি টাকার বেশি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।