কোনও ঘটনার তদন্ত অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। কেন বিষয়টি নিয়ে এত দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে, তাও বোঝা যাচ্ছে না। লখিমপুর খেরির কৃষক খুনের ঘটনার তদন্তে এভাবেই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে দুষল সুপ্রিম কোর্ট।
কেন এখনও সব সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়নি? কেন ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? উত্তরপ্রদেশ সরকার কী করছে? যোগী সরকারের উদ্দেশ্যে এমনই কড়া প্রশ্নবাণ ছুড়ল প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।
সরকার পক্ষের বিশিষ্ট আইনজীবী হরিশ সালভেকে প্রধান বিচারপতি বলেন, গতকাল রাত ১টা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আপনারা রাজ্য সরকারের বক্তব্য (তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট) জানাননি। আজ সকালে শুনানির কিছুক্ষণ আগে শেষ মুহূর্তে মুখবন্ধ খামে কেন তা জমা করছেন? তোপের মুখে পড়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান হরিশ সালভে।
তিনি অনুরোধ করেন, শুনানি শুক্রবার হলে ভালো হয়। যদিও আদালত তা অনুমোদন করেনি। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যা বলার, আজই বলতে হবে। বিষয়টি অনন্তকাল চলতে পারে না। ঘটনায় ৮ জন মারা গিয়েছেন। বিষয়টিকে লঘু করে দেখা উচিত নয়। ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র চারজনের বক্তব্য রেকর্ড হয়েছে। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিয়ে কী করেছেন, তাও জানানো হয়নি কেন?
জবাবে সালভের বক্তব্য, দশেরার জন্য নিম্ন আদালত বন্ধ ছিল। পাল্টা বেঞ্চের অন্যতম সদস্য হিমা কোহলি প্রশ্ন করিম, ক্রিমিনাল কোর্টে ছুটি থাকে নাকি? গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি ঘটনাটিকে ‘নির্মম হত্যা’ বলেই আগেই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে আদালতকে জানিয়েছেন, ওখানে আরও যে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। সালভের সওয়াল শেষ হওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় তদন্ত করে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
২৬ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।