করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা আটকাতে দেশে কড়া লকডাউনের প্রয়োজন। এমনই দাবি করলেন এইমসের প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়া। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেসামাল অবস্থা সামাল দিতে পারে একমাত্র লকডাউনই। গত বছর মার্চ মাসে লকডাউনের ফলে সংক্রমণের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়েছিল বলে মত ড. গুলেরিয়ার।
যে ভাবে ভাইরাস নিজের ভয়াবহ রূপ দেখাচ্ছে, তাতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং অন্যান্য রাজ্যে সাপ্তাহিক লকডাউন ও নাইট কার্ফু জারি করে সংক্রমণে রাশ টানার চেষ্টা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আদতে এতে কোনও কাজই হয়নি।
অক্সিজেনের অভাবে নিজের ছাত্রকালীন বন্ধু ও সহকর্মী ড. আরকে হিমথানিকে হারিয়েছেন তিনি বলেও উল্লেখ করেন ড. গুলেরিয়া। বাত্রা হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত ১২ জনের মধ্যে ড. হিমথানিও একজন ছিলেন বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এইমস প্রধান। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।
একের পর এক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসকদের অনবরত কাজ করে যেতে হচ্ছে। এত পরিমাণ রোগী সংখ্যা সামাল দেওয়া বিশ্বের কোনও স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে একমাত্র উপায় কঠোর লকডাউন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, সেইসব এলাকায় লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায়ই দেখছেন না এইমসের প্রধান।
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে আরও একসপ্তাহ লকডাউন বৃদ্ধি করেছে কেজরিওয়াল সরকার।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।