Bihar: জেডিইউ-তে ভাঙন - দুই প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিচ্ছেন আরজেডিতে

বিহারে জেডিইউতে ভাঙন ধরালো আরজেডি। জেডিইউ-এর দুই প্রাক্তন বিধায়ক মনজিত সিং এবং মহেশ্বর সিং আরজেডিতে যোগ দেবার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
লালুপ্রসাদ যাদব ও তেজস্বী যাদব
লালুপ্রসাদ যাদব ও তেজস্বী যাদবফাইল ছবি ন্যাশনাল হেরাল্ডের সৌজন্যে

বিহারে জেডিইউতে ভাঙন ধরালো আরজেডি। জেডিইউ-এর দুই প্রাক্তন বিধায়ক মনজিত সিং এবং মহেশ্বর সিং আরজেডিতে যোগ দেবার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এঁদের মধ্যে প্রাক্তন বিধায়ক মনজিত সিং নীতিশ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।

মনজিত সিং বুধবার জানিয়েছেন আগামী ৩ জুলাই তিনি আরজেডিতে যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন।

মনজিত সিং এবং মহেশ্বর সিং দুই জেডিইউ নেতাই প্রাক্তন বিধায়ক। যদিও ২০০০ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই দুই বিধায়কের আসন বিজেপির ভাগে পড়ে যাওয়ায় এঁদের মনোনয়ন দেয়নি জেডিইউ। প্রতিবাদে জেডিইউ-এর এই দুই প্রাক্তন বিধায়ক নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। যদিও মনজিত সিং ভালো ভোট পাওয়ায় ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী আরজেডি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার একদম ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা নীতিশ কুমার সরকারের ওপর বিজেপি ছাড়া অন্য যে দুই দলের সমর্থন আছে তারা সমর্থন তুলে নিলে সমস্যায় পড়বে নীতিশ সরকার। নীতিশ কুমারের জোট সরকার গঠনের সময়েই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব দাবি করেছিলেন তাঁরা জেডিইউ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং এই সরকার যে কোনো মুহূর্তে পড়ে যাবে।

তবে এখনও পর্যন্ত নীতিশ কুমারের সরকারের ওপর সেভাবে কোনো বিপদ আসেনি। যদিও লালুপ্রসাদ জাদব জামিনে মুক্তি পাবার পর থেকেই বিহারে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। জেডিইউ শিবিরের একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে লালুপ্রসাদের সুসম্পর্কের কথা রাজনৈতিক মহলে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে আগামীদিনেও নীতিশ কুমারের নিরাপদে থাকবে কিনা তা সময়ই বলবে।

এর আগে গত ১১ জুন আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতিশ শিবিরের জিতন রাম মাঝি। বেশ কিছুদিন ধরেই নীতিশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন জিতন রাম মাঝি। গত ২৩ মে এক ট্যুইট বার্তায় তিনি আক্রমণ হেনেছিলেন এনডিএ-র বিরুদ্ধে। যেখানে তিনি বলেছিলেন করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেটেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগানো হোক। যদিও পরে তিনি এই ট্যুইট মুছে দেন। এর পরেও এক ট্যুইট বার্তায় তাঁর আক্রমণের নিশানায় আসে নীতিশ সরকার। গত ১০ জুন তিনি লেখেন – “গরীব দলিত এগিয়ে গেলে সে নকশালী, গরীব মুসলমান মাদ্রাসায় পড়লে সে সন্ত্রাসবাদী, ভাইসাহেব এই ধরণের ভাবনা চিন্তা থেকে বেরোন। এই ভাবনা দেশের একতা এবং অখন্ডতার জন্য ঠিক নয়। আমি বাঁকা বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার উচ্চস্তরীয় তদন্ত দাবি করছি।”

ওই সাক্ষাতের পর আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ জানান – তিনি জিতন রাম মাঝিকে জানিয়েছেন যে যে কোনো সময় ইচ্ছে করলেই তিনি মহাজোটে ফিরতে পারেন। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি জানিয়েছিলেন এনডিএ-র মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। জিতন রাম মাঝি এনডিএ-র একজন বিশিষ্ট নেতা। তিনি যে কোনো রাজনৈতিক বৈঠক করতেই পারেন।

- with IANS input

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in