দেশে সবথেকে বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লিতে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তার প্রেক্ষিতে পরিবেশপ্রেমী সংস্থা গ্রিনপিস দেখিয়েছে, দিল্লিতে গত বছর বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম ২.৫) মাত্রা হু-র নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল, প্রায় ১৭ গুণ। কলকাতায় সেই মাত্রা সাড়ে ন’গুণ এবং মুম্বইয়ে আট গুণ বেশি ছিল। হায়দরাবাদ, আমেদাবাদেও আট গুণ বা তারও বেশি ছিল পিএমের মাত্রা।
হু (WHO) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে বায়ুদূষণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই অঞ্চলের দূষণের নিরিখে ক্রমপর্যায়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পরেই রয়েছে ভারত। দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির জেরে দেশে বায়ুদূষণঘটিত রোগের দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কাও করা হচ্ছে। শ্বাসরোগ, ফুসফুসের ক্যানসারের মতো রোগ আরও বিপজ্জনক আকার ধারণ করতে পারে, এমনটাই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন পরিবেশবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। হু'র পরামর্শ, বাতাসে ভাসমান কণা (পিএম), ওজোন, নাইট্রোজেন যৌগ, সালফার যৌগ ইত্যাদি যাতে কমানো যায়, তার উপরেই বেশি জোর দেওয়া উচিত।
কানপুর আইআইটি-র অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচ্চিদানন্দ ত্রিপাঠীর বক্তব্য, দেশের অনেক শহরেরই দূষণের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া মাত্রার নীচে নামবে না। বায়ুদূষণ রোধ করা ছাড়া উপায় নেই।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।