
গত সোমবারই কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্তের জন্য তলবে সাড়া দিয়ে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছ’ জন আধিকারিক প্রায় সাড়ে আটঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন বলে জানা যায়। এরপর ফের তাঁকে তলব করা হল। আগামী ২৯ মার্চ, মঙ্গলবার তাঁকে দিল্লিতেই হাজিরা দিতে হবে।বৃহস্পতিবার ইডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
গত সোমবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেছিলেন, তিনি ইডি-র সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারীদের সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। সোমবারের জেরায় তাঁর সেসব প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনটাই তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে ইডি দাবি করেছে, গোয়েন্দারা তদন্ত করে গত ছ’মাসে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন। তার ভিত্তিতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন হয়নি। আরও কিছু বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সব প্রশ্নের জবাব মেলেনি বলেই ফের তলব করা হয়েছে।
গত দু’ বছর ধরে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এই পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একদিকে যেমন প্রভাবশালী নেতাদের, তেমনি অন্যদিকে নামজাদা ব্যবসায়ী, পুলিশ কর্তা থেকে বিএসএফ আধিকারিকেরও নাম রয়েছে। তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। সেই তালিকায় গত লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎ নাম জুড়ে যায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাদ যায়নি তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই তলব। সোমবার জেরার পরে দিল্লিতে সারদা-নারদার প্রসঙ্গ টেনে এনে অভিষেক বলেন, 'তৃণমূলে থাকলেই সে চোর হয়, অথচ বিজেপিতে নাম লেখালেই সাধু হয়ে যায়।' ইডি সূত্রে খবর সেদিন একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বস্তি বোধ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন