কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরই দেশে বেকারত্বের হার বাড়তে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসেই দেশে বেকারত্বের হার ৪ মাসে সর্বোচ্চ ছিল। সংক্রমণে রাশ টানতে রাজ্য প্রশাসনগুলো লকডাউনের পথে হাঁটতেই বেকারত্বের হার বাড়তে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়া ইকনমি প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মার্চ মাসে যেখানে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ ছিল, তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৯৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। প্রায় ৭০ লাখ মানুষ গত মাসে কাজ হারিয়েছেন।
যেভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেছেন, সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস। তাঁর মতে, বেকারত্বের হার বেড়েছে এই লকডাউনের কারণেই। উল্লেখ্য, গত বছর মার্চ মাসে দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর ফলে লাখো মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন। দেশের আর্থিক অবস্থায় রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। এবার তাই রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শেষ হাতিয়ার হিসেবেই যেন লকডাউন নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়।
তাই রাজ্যগুলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নতির জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে ফের একবার দেশজুড়ে লকডাউনের প্রভাবে গরীব মানুষদের ভুগতে না হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, যদি ফের একবার লকডাউন জারি হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুব খারাপ হবে। ফের একবার ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় মুশকিল হয়ে যাবে। সুতরাং, রাজ্যগুলোতে আংশিক লকডাউন জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার উপরই জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।