রাজধানীর কৃষক আন্দোলনের আঁচ পড়ল লন্ডনে। রবিবার মধ্য লন্ডনের রাস্তায় ভারত সরকারের নয়াকৃষি আইনের বিরুদ্ধে এবং কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার লন্ডনবাসী। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, করোনা বিধি লঙ্ঘন করে বিক্ষোভ দেখানোয় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বহু লন্ডনবাসী লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিল। ব্রিটিশ রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে এক বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশ তৈরি হয়। প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ দেখাতে দেখা যায় তাঁদের। প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে জাস্টিস ফর ফার্মার, আই স্ট্যান্ড উইথ ফার্মার। প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি এদিন কৃষকদের সমর্থনে স্লোগান দিতেও শোনা যায় তাঁদের।
করোনা আবহের মধ্যে এই ধরনের সমাবেশ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছিল ব্রিটিশ পুলিশ। তার পরেও বিক্ষোভকারীদের জমায়েত করেছেন। তাছাড়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মাত্র কয়েক জনের মুখে মাস্ক দেখতে পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় দূরত্বও বজায় থাকে নি।
রবিবার মাস্ক পরিহিত কিছু পুলিশকর্মী বিক্ষোভকারীদের বলেন, মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে। বিক্ষোভ এখনই বন্ধ করতে হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেই কথা না শোনায়, ৩০ জনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের মুখপাত্র এদিন বলেন, ভারতীয় হাইকমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলছে। তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে হাজার মানুষের সমাবেশ কখনোই হতে পারেনা। খুব দ্রুত বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, এদিন সমাবেশটি ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্যই ঘটেছে। ভারতের কৃষকদের বিক্ষোভকে অনেকে সমর্থন জানাতে চাইছে। সেই চাহিদাটাকে কাজে লাগিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়াকৃষি নীতির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছেন কৃষকরা। গোটা দেশের কৃষকরা এসে জড়ো হয়েছেন রাজধানীর রাস্তায়। ভারতের বাইরেও এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে বিস্তর। দিল্লিতে এই কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।