মহামারীকালেও বিলিয়নিয়ররা আরও বড়লোক হয়েছেন। ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ-এর স্কলার চাক কলিস গত মার্চ মাস থেকে আমেরিকার বিলিয়নিয়রদের সম্পত্তির হিসাব রাখছিলেন। করোনাকালে তাঁদের সম্পত্তির কতটা ক্ষতি হচ্ছে তা জানার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি। দেখা গিয়েছে, ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী মন্দার সময় বহু বিলিয়নিয়র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
ফোর্বসের তালিকায় থাকা ৪০০ জন ধনী ব্যক্তির ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির পরিমাণ সামাল দিতে কমপক্ষে ৪ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বেশিরভাগ বিলিয়নিয়ররাই তেমন কোনও ক্ষতির মুখ দেখেননি। বরং আগের থেকে অনেক বেশি ধনী হয়েছেন। যা আগে কখনও ছিলেন না। মঙ্গলবার স্টকমার্কেট রেকর্ড করার পর কলিনস খেয়াল করেছেন, বিলিয়নিয়ররা ১ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পত্তি পেরিয়ে গিয়েছেন। যা গত মার্চ মাস থেকে বিলিয়নিয়রদের জন্য সবথেকে বড় প্রাপ্তি।
১৮ মার্চ কলিনস ও তাঁর সহকর্মীদের দ্বারা করা একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার ৬১৪ জন বিলিয়নিয়র মোট ২.৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পত্তির পরিমাণ বাড়িয়েছেন। মঙ্গলবার মার্কেট বন্ধ হওয়ার সময় দেখা গিয়েছে ৬৫০ জন বিলিয়নিয়রের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে, ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। ১৯৩০ সালের পর সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থাতেও আমেরিকার বিলিয়নিয়রদের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে এক তৃতীয়াংশ!
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।