Visva Bharati University: তুমুল বিতর্কের জেরে BJP-র হারের কারণ নিয়ে ডাকা আলোচনাসভা বাতিল

বিশ্বভারতীর তরফ থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতি মারফত জানা যায়, আগামী ১৮ মে বিকেল ৪টেয় একটি আলোচনাসভা ডাকা হয়েছে, যার বিষয় - "কেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারলো না?"
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীফাইল ছবি সংগৃহীত

ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হারের কারণ খতিয়ে দেখতে আলোচনাসভা ডাকলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উপাচার্যের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। যার জেরে আলোচনাসভা বাতিল করতে বাধ্য হলেন তিনি।

নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের নেতারা দাবি করেছিলেন, ২০০টির বেশি আসন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গড়বে বিজেপি। কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা গেছে মাত্র ৭৭ আসনেই আটকে গেছে তারা। বিজেপির এই পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে আলোচনাসভা ডেকেছিলেন উপাচার্য।

বিশ্বভারতীর আলোচনাসভার আমন্ত্রণপত্র
বিশ্বভারতীর আলোচনাসভার আমন্ত্রণপত্রছবি সংগৃহীত

বিশ্বভারতীর তরফ থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতি মারফত জানা যায়, আগামী ১৮ মে বিকেল ৪টেয় একটি আলোচনাসভা ডাকা হয়েছে, যার বিষয় - "কেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারলো না?" অনলাইনে হওয়া এই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগের যুগ্ম পরামর্শদাতা অধ‍্যাপক সঞ্জয় কুমার।

এই খবর প্রকাশ‍্যে পার পরই সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের পরাজয় নিয়ে আলোচনাসভা ডাকা যায়? উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও প্রশ্নও ওঠে। আশ্রমিকদের মতে, এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এভাবে বৈঠক ডাকা হলো বিশ্বভারতীতে।

উপাচার্যের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হন আশ্রমিক তথা ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। তাঁর কথায়, বিশ্বভারতীর অন্দরে রাজনীতি পৌঁছে যাচ্ছে, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একেবারেই পছন্দ করতেন না।

পরিস্থিতির চাপে পড়ে আপাতত ওই আলোচনাসভা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও কারণ উল্লেখ করেননি তাঁরা।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in