কংগ্রেস ছাড়ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না একথাও নিশ্চিত করেছেন তিনি। তাহলে কী আম আদমি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন? তাঁর এই নতুন ঘোষণার পর সেই গুজনই শোনা যাচ্ছে রাজধানীর অলিতে গলিতে।
গতকাল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে প্রায় ঘন্টাখানেক বৈঠক করার পর ক্যাপ্টেনের বিজেপিতে যোগ নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, এরপরই অম্বিকা সোনি সহ কংগ্রেসের একঝাঁক শীর্ষ নেতৃত্ব, যাঁদের সাথে ক্যাপ্টেনের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা তাঁর সাথে দেখা করেন। কিন্তু তাতে বরফ গললো না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ক্যাপ্টেন বলেন, "এখনও পর্যন্ত আমি কংগ্রেসে আছি। কিন্তু কংগ্রেসে আমি থাকবো না। আমি ইতিমধ্যেই আমার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমার সঙ্গে এই আচরণ মেনে নেব না আমি। ৫২ বছর ধরে আমি রাজনীতি করছি। আমার নিজস্ব কিছু বিশ্বাস, নীতি আছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় কংগ্রেস সভাপতি আমাকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। আমি কোনো প্রশ্ন করিনি। সেদিনই বিকাল ৪টায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিই। যদি ৫০ বছর পর আপনি আমাকে সন্দেহ করেন, তাহলে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা হুমকির মুখে পড়ে। যদি বিশ্বাসই না থাকে, তাহলে আমার দলে থেকে কী লাভ?"
নভজ্যোৎ সিং সিধুকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করা নিয়েই এই বিতর্কের সূত্রপাত। ক্যাপ্টেন সিধুর সভাপতি হওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। ক্যাপ্টেনের মতে সিধুর আচরণ শিশুসুলভ। তা সত্ত্বেও সিধুকে রাজ্য সভাপতি করা হয়। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন। তিনি সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন দল তাঁকে তিনবার অপমান করেছে।
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা। এর উত্তরে ক্যাপ্টেন জানান, "আমি বিজেপিতে যোগ দেব না। আমি এধরণের ব্যক্তি না যে বিভক্ত-সিদ্ধান্ত নেবে।"
এই সাক্ষাৎকারের পরেই নিজের ট্যুইটার বায়ো থেকে "কংগ্রেস" শব্দটি সরিয়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।