উত্তরপ্রদেশে ১৮ জন সমাজবাদী পার্টির কর্মীকে যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র, তাদের বিরুদ্ধে আনা হল হত্যার চেষ্টার অভিযোগ। এদের মধ্যে ১৬জনকে পাঠানো হল জেলে। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কুশপুতুল পোড়াতে বাধা দিলে তারা পুলিশকে আক্রমণ ও জখম করে।
৩০৭ধারা (হত্যার চেষ্টা) ছাড়াও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা বাধানো, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেআইনি সমাবেশ সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির আরও ১৫টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সমাজবাদী পার্টির (এসপি) জেলা সভাপতি রাজপাল সিং মীরাটের জেলাশাসককে চিঠি লিখে জানিয়েছেন ধৃতেরা নিরপরাধ। তারা শুধু তাদের প্রতিবাদের অধিকার প্রয়োগ করেছে।
মীরাটের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ প্রভাকর চৌধুরী সোমবার দাবি করেছেন, এসপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রল ছুঁড়েছিল। পেট্রলে আগুন লেগে এক পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসএসপি।
৪ অক্টোবর এফআইআর করা হয়। ওইদিন সমাজবাদী পার্টির পক্ষ থেকে লখিমপুর খেরির ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদ আন্দোলনের আয়োজন করা হয়েছিলো। এসএসপি জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ এসপি কর্মী ওই দিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে জড়ো হয়েছিল।
চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, 'শুধুমাত্র ১৮জন এসপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ তারা কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে আঘাত করেছে। তাদের নিজেদের কর্মীরাও অনেকে জখম হয়েছে। আমাদের একজন কনস্টেবল আগুনে জখম হয়।তার উর্দিতে আগুন ধরে যায়। ১৪৪ধারা জারি আছে তাই সেখানে বিক্ষোভ করা যাবে না, পুলিশরা একথা বোঝাতে গেলে এসপি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে মারপিট শুরু করে দেয়।'
এসপি নেতার প্রশ্ন, 'কবে থেকে প্রতিবাদকে হত্যার চেষ্টার অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে? জখম হওয়া পুলিশকর্মীটিই বা কোথায়? আগুনে পুড়ে গেলে কোন ব্যক্তিই পাঁচদিনে সেরে উঠতে পারে না। পোড়ার দাগ মেলাতে পারে না।
তিনি বলেছেন দলের যুব সংগঠনের যে সদস্যদের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ আছে। এদের অনেকেই গরিব পরিবারের।
- with IANS inputs
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।