পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে পদত্যাগ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। আজ বিকেলেই সমস্যা মেটাতে দলীয় বিধায়কদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যদিও সূত্র অনুসারে, এই বৈঠকের আগেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। অন্য সূত্র অনুসারে, এই নির্দেশের পরেই দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে অমরিন্দর সিং ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সকালেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন তিনি অপমানিত বোধ করছেন এবং দল থেকে ইস্তফা দিতে চান। অন্য এক সূত্র অনুসারে, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড অমরিন্দর সিংকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য গতকাল রাত থেকেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের ঘরোয়া কোন্দল নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাত ১১.৪২ মিনিটে এক ট্যুইট বার্তার মাধ্যমে শনিবার বিধায়কদলের জরুরি বৈঠক ডাকেন হরিশ রাওয়াত। এর ঠিক ১০ মিনিট পরেই হরিশ রাওয়াতের ট্যুইট রিট্যুইট করে সমস্ত বিধায়ককে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু।
হরিশ রাওয়াতের এই ঘোষণার পরেই বোঝা যায় আগামী ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন কারোর ওপর দায়িত্ব দিতে চাইছে কংগ্রেস। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট সুনীল জাখর ট্যুইটে লেখেন, পাঞ্জাবের এই কঠিন সমস্যা মেটাতে রাহুল গান্ধী যে আলেকজান্দ্রিয়ান সমাধান ভেবেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। তিনি আরও বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে, পাঞ্জাব কংগ্রেসের এই সমস্যা সমাধানের জন্য নেতৃত্বের সাহসী সিদ্ধান্ত কেবল কংগ্রেস কর্মীদেরই উজ্জীবিত করবে না, বরং অকালিদেরও ভিত নড়িয়ে দেবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়কদের বড়ো অংশই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর অনাস্থা জানানো এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁর অপসারণ চাইবার পর জরুরি ভিত্তিতে আজকের বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এদিন বিকেলের বৈঠকের আগে ঘনিষ্ঠ দলীয় বিধায়কদের নিয়ে আলাদা করে তাঁর সরকারি বাসভবনে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। অনুমান করা হচ্ছে এই বৈঠকে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের পক্ষ থেকে যে নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার বিরোধিতা করা হতে পারে।
- with inputs from IANS
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।