একনাথ শিন্ধে গোষ্ঠীর শিবসেনা থেকে প্রার্থী হলেন বিজেপি মুখপাত্র শাইনা এনসি। মুম্বাদেবী আসন থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে শিবসেনা। বিজেপি না ছাড়লেও শিবসেনা শিবির তাঁকে প্রার্থী করায় একনাথ শিন্ধেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাইনা।
আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে নির্বাচন। বিজেপির প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি শাইনার। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ওরলি আসন থেকে শাইনাকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তা হয়নি। ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মিলিন্দ দেওরাকে। ফলে শিবসেনা তাঁকে মুম্বাদেবী আসন থেকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণ করেন শাইনা।
এক্স মাধ্যমে শাইনা লেখেন, "আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এবং অজিত পাওয়ার মহাশয়কে অসংখ্যক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের মহাযুতি নেতৃত্ব বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে মুম্বাদেবীর মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।"
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থায় শাইনা বলেন, "আমি সারাজীবন দক্ষিণ মুম্বইতে বসবাস করেছি। আমি জানি এখন মানুষদের প্রতিদিন কী ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মুম্বইয়ের নাগরিকদের প্রতি আমি দায়বদ্ধ।"
তিনি আরও বলেন, আমি শুধুমাত্র একজন বিধায়ক হয়ে থাকতে চাই না। আমি মানুষের কন্ঠ হয়ে উঠতে চাই। মানুষের সমস্ত ফোনের উত্তর দিই আমি। আমার কোনো পিএ নেই। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসন, আইনসভা এবং নাগরিকদের সম্মিলিত চেতনাই ভালো পরিষেবা প্রদান করে।
প্রসঙ্গত, মুম্বাদেবী আসনটিতে এখনও পর্যন্ত খাতা খুলতে পারেনি শিবসেনা। ২০০৯ সাল থেকে আসনটিতে জয়ী হচ্ছে কংগ্রেস। পর পর ৩ বার জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস নেতা আমিন প্যাটেল। ২০০৯ সালে ১৬ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। ২০১৪ সালে ব্যবধান কমলেও বিজেপি প্রার্থীকে হারান সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্যবধানে। ২০১৯ সালে ২৩ হাজারের বেশি ব্যবধানে জয়ী হন আমিন প্যাটেল। ২০২৪ সালেও তিনি প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে। ফলে শাইনার পক্ষে যে জয় সহজ হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন