
কর্ণাটকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)। শুক্রবার রাতে, এমনই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে শারদ পাওয়ারের দল।
‘বিরোধী ঐক্যের’ নামে গত বৃহস্পতিবার রাতেই কংগ্রেস নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। আর, সেই বৈঠকের একদিন পরেই এনসিপি’র এই সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে, কর্ণাটকে বিজেপির সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিজেপির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী লক্ষণ সাভাদি কংগ্রেসে যোগদান কংগ্রেস শিবিরে নতুন করে উদ্দীপনা যুগিয়েছে। সেই মুহূর্তে কর্ণাটকে এনসিপি’র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের জন্য চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ১০ মে, কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে ৪০-৪৫ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করছে এনসিপি। যে অঞ্চলেগুলিতে বিজেপি, কংগ্রেস এবং জনতা দল সেকুলার (JDS)-র মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, সেখানেই নিজেদের প্রার্থী দেবে শারদ পাওয়ারের দল। আর, এই সিদ্ধান্ত বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য একটি বড় আঘাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি ‘জাতীয় দলের’ মর্যাদা হারিয়েছে জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)। শুধু তাই নয়, গোয়া, মণিপুর এবং মেঘালয়ে ‘রাজ্য দলের’ মর্যাদাও হারিয়েছে শারদ পাওয়ারের দল। যার জেরে জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন শারদ পাওয়ারও। তাই, হারানো ‘মর্যাদা’ ফিরে পেতেই বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপি। আর, সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রথমেই বেছে নেওয়া হয়েছে – কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন।
এ প্রসঙ্গে এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেন, ‘জাতীয় দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’ জানা যাচ্ছে, কর্ণাটক নির্বাচনে এনসিপিকে তার ‘অ্যালার্ম ঘড়ি’ প্রতীক বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত সপ্তাহে, NDTV-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদানিকে নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টকে ‘উদ্দেশ্য পূর্ণ’ আক্রমণ বলে দাবি করেছিলেন শারদ পাওয়ার।
পরোক্ষভাবে আদানিদের সমর্থনে করে এনসিপি প্রধান বলেন, ‘দেশে জ্বলন্ত ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে আদানি ইস্যুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানুষের সমস্যার থেকেও বেশি দেশের একটি স্বতন্ত্র শিল্প গোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়েছে বলেই আমার মনে হয়। যদি আদানিরা কিছু ভুল করে থাকে, তবে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। কিন্তু সংসদে জেপিসি তদন্তের দাবি নিয়ে আমার ভিন্নমত আছে।’