হেরে গেলেন ক্ষিত দা

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ফাইল ছবি সংগৃহীত

‘ফাইট কোনি ফাইট’ বলে দাঁতে দাঁত চেপে লড়তে শেখানো ক্ষিত দা ক্ষিতীশ সিংহ গত ৬ অক্টোবর থেকে টানা লড়াই করে নিজেই হেরে গেলেন জীবন যুদ্ধে। দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ের মাঝেই অন্ধকার ঘনিয়ে এলো বাঙলা চলচ্চিত্র জগতে। রবিবার দুপুর ১২.১৫ মিনিটে শেষ হয়ে গেল দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই। সকলের প্রিয় ফেলুদা, ক্ষিতদা, অপু নিজেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মরণপণ লড়াইও ফেলুদাকে ফিরিয়ে আনতে পারলো না। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত যিনি বিশ্বাস করে গেলেন ‘বামপন্থাই বিকল্প’।

১৯৩৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম তদানীন্তন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর কৃষ্ণনগর শহরে। আদিবাড়ি যদিও বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাছে কয়া গ্রামে কিন্তু পিতামহের আমল থেকেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বাস হয় নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে।

পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে পড়াশোনা করার পর বাবার বদলির চাকরির কারণে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন হাওড়া জেলা স্কুল থেকে। পরবর্তী সময়ে সিটি কলেজ থেকে স্নাতক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর।

শিশির ভাদুড়ির নাটক দেখে অভিনয়ে অনুপ্রাণিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জীবনের প্রথম স্ক্রিন টেস্টে বাদ পড়ে যান নীলাচলে মহাপ্রভু থেকে। যদিও তারপর খুব বেশি সময় তাঁকে অপেক্ষা করতে হয়নি। ডাক আসে খোদ সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে।

সালটা ১৯৫৯। অপুর সংসার-এ অপু একটু অন্যভাবেই হাজির হন আমাদের সামনে। বাকীটা ইতিহাস। ১৯৫৯-এ অপুর সংসারের পর ১৯৬০-এ ক্ষুধিত পাষাণ, দেবী্‌, ১৯৬১তে সমাপ্তি, ঝিন্দের বন্দী। ১৯৬২তে অভিযান – আর পেছন ফিরে তাকাননি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

২০০৪ সালে পদ্মভূষণ, ২০১১ তে দাদাসাহেব ফালকে, ২০১৮ তে লিজিয়ন অফ ওনার সম্মানে ভূষিত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ২০১৩ সালে প্রত্যাখ্যান করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বঙ্গবিভূষণ সম্মান। যদিও পরে ২০১৭ সালে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in